বেসিক লাইটিং
Spread the love

আলো সাধারণত আমরা দুইভাবে পেয়ে থাকি যেমন – প্রাকৃতিক ও ইলেকট্রিক।

বইয়ের ভাষায় ইঙ্ক্যান্ডিসেন্ট ল্যাম্প ও ট্যাংস টেন ল্যাম্প।

বেসিক লাইটিং সাধারণত তিন ধরণের হয় কিলাইট,ফিল লাইট,ও ব্যাক লাইট। সেই সাথে যোগ হয় ব্যাকগ্রাউন্ড লাইট।

কি-লাইট – এটি হলো প্রধান লাইট। এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ও সাবজেক্টের লুকের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। এটি ক্যামেরা বা সাবজেক্টের ডানে অথবা বামে ৪৫ ডিগ্রী কোনে বসানো হয়। এ লাইট ব্যবহারে, সাবজেক্টের একপাশ আলোকিত হবে এবং অন্যপাশে কিছুটা ছায়া পড়বে।

ফিল লাইট –  ফিল অর্থাৎ পূরণ করা। যখন কোন ব্যক্তি বা বস্তুর ডানে বা বামে “কি লাইট “ দেয়া হয়,তখন তার বিপরীত দিকে গাড়ো ছায়া পড়ে। এই ছায়াটিকে হালকা করাই ফিল লাইটের কাজ। ফিল লাইটের আলোর পরিমাণ কি লাইটের কম হবে। অর্থাৎ কি লাইট যদি এক কিলো ওয়াট হয় তাহলে ফিল লাইট হবে হাঁপ কিলো ওয়াট। ৪৫ ডিগ্রী দূরত্বে ক্যামেরার যে কোনে কি লাইট হবে,তার বিপরীত পাশে ক্যামেরা থেকে ৪৫ডিগ্রী কোনে ফিল লাইট স্থাপন করতে হবে।

ব্যাক লাইট  – ব্যাক লাইট সাধারণত সাবজেক্টের পেছনে লাগানো হয়। সরাসরি লাইট না দিয়ে পেছন থেকে লাইট দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাক লাইট ব্যবহৃত হয়। এর ব্যবহারে সাবজেক্টের আশপাশের দৃশ্য অনেক বেশি পরিষ্কার হয়ে ওঠে। এটি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে সাবজেক্টকে আলাদা করতে সাহায্য করে। এর কারণে থ্রি ডাইমেনশনাল ভিউ পাওয়া যায়।

ব্যাক লাইটের অবস্থান হবে কি লাইটের বিপরীতে। তবে সরাসরি ক্যামেরার বিপরীতে সেট করতে পারলে আরো ভালো কাজ হয়। সে ক্ষেত্রে ছাদে ঝুলিয়ে দেয়া যেতে পারে। ব্যাক লাইটের পরিমাণ হবে কি লাইটের দ্বিগুণ । অর্থাৎ কি লাইট এক কিলো ওয়াট হলে ব্যাক লাইট হবে দুই কিলো ওয়াট।

ব্যাকগ্রাউন্ড লাইট – সাবজেক্টের পেছনের অংশকে আলোকপাত করাকে ব্যাকগ্রাউন্ড লাইট বলে।

প্রাকৃতিক আলোতে কাজ করার কৌশল – সংবাদ-চিত্র ধারণের ক্ষেত্রে লাইটিং বা স্ট্যান্ড বোর্ড ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই,তাই এসব ক্ষেত্রে এমবিয়েন্ট ( ন্যাচারাল) লাইট আমাদের ভরসা।আউটডোরে সূর্যের অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে। সূর্যকে পেছনে রেখে ব্যক্তির ছবি নিলে ফেস ডার্ক হয়ে যেতে পারে,আবার ফেসে সঠিক এক্সপোজার দিলে দেখা যাবে ব্যাকগ্রাউন্ড বার্ন হয়ে গেছে।

এরকম বিড়ম্বনা এড়াতে হলে সূর্যকে Kie Light হিসেবে ধরে কাজ করাই শ্রেও।

তবে ছবির ভিন্ন অর্থ ব্যবহারে অনেক সময় সাবজেক্টকে ডার্ক রেখে সূর্যের  বিপরীত অবস্থান থেকেও অনেক ছবি পরিলক্ষিত হয়। ব্যাকরণের ভাষায় এটাকে সিল্যুট শট বলে।

এছাড়া ইনডোরের ক্ষেত্রে আলট্রা লাইটই একমাত্র ভরসা।