মিডিয়া মানে মাধ্যম। যে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্য/বিনোদন ইত্যাদি বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের কাছে পৌছনো সম্ভব হচ্ছে সেটিই মিডিয়া বা গণমাধ্যম এবং যারা এই মাধ্যমে কর্মরত,তাদের বলা হয় মিডিয়া অথবা গণমাধ্যম কর্মী।
অনেকে আছেন যারা শিল্পী/মডেল/ মিডিয়া কর্মী/সংবাদ কর্মী সব এক করে গুলীয়ে ফেলেন। কিন্তু সবকিছুরই সুনিদ্রিষ্ঠ নামকরণ আছে। তেমনি কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো।
ইলেকট্রনিক মিডিয়া – সরকার অনুমোদিত টিভি চ্যানেল/রেডিও ইত্যাদি যেগুলি টেরিস্টেরিয়াল অথবা স্যাটেলাইট তরঙ্গের মাধ্যমে প্রচারিত,সেগুলি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
প্রিন্ট মিডিয়া – পত্রিকা বা ম্যাগাজিন যেগুলি ছাপাখানার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেটা প্রিন্ট মিডিয়া অন্তর্ভুক্ত।
অনলাইন মিডিয়া – ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচারিত বা প্রকাশিত যেমন অনলাইন পেপার,রেডিও,আইপি টিভি ইত্যাদি।
সোস্যাল মিডিয়া – অন্যান্য মাধ্যম তুলনায় সামাজিক মাধ্যম সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বতন্ত্র। প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই যেকোনো ব্যক্তি একটি ব্যক্তিগত একাউন্ট খোলার মাধ্যমে অনলাইন বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন।
যেমন – ফেসবুক,টুইটার,ইনস্টগ্রাম ইত্যাদি।
মূলধারার মিডিয়ার থেকে সোস্যাল মিডিয়ার কার্যক্রম একেবারে আলাদা।
এখানে একজন মানুষ তার ব্যক্তিগত পরিচয় বহন করে,এবং তার ব্যক্তিগত মন্তব্য / ছবি / ভিডিও ইত্যাদি তার পরিচিত জনের কাছে শেয়ার করতে পারে।
এছাড়া যারা ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করে মানুষকে বিনোদন/শিক্ষা ইত্যাদি দিয়ে থাকেন তাদের কনটেন্ট ক্রিয়েটর বা ইউটিউবার বলা হয়ে থাকে।
শোবিজ অঙ্গন বা গ্লামার ওয়ার্ল্ড – গণমাধ্যম বা বিভিন্ন ইভেন্টে এ্যাকটর/ মডেল/সিংগার ইত্যাদি যারা বিনোদন মূলক পেশায় জড়িত,সমষ্টিগত ভাবে তারা শোবিজ মিডিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
এছাড়া যারা সাংস্কৃতিক চর্চা করছেন তারা সাংস্কৃতিক কর্মী। যেমন নাচ/গান/অভিনয় ইত্যাদি।
বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারী বেশি, এজন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় যুক্ত হয়েছে। সরেজমিন যারা এই সকল প্রতিষ্ঠানের সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশের জন্য তথ্য, ছবি বা ভিডিও একই সাথে ধারণ করছেন তাদের মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট বলে সম্বোধন করা হচ্ছে।